কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র (এআইসিসি) হলো তৃণমুল পর্যায়ে স্থাপিত কৃষকদের দ্বারা পরিচালিত একটি আইসিটিভিত্তিক তথ্য সেবা কেন্দ্র। গ্রাম পর্যায়ে স্থাপিত এসব এআইসিসি’র মাধ্যমে কৃষকেরা নিজেরাই নিজেদের মাঝে তথ্য সেবা গ্রহণ ও বিতরণের কাজটি করছেন। এসব কেন্দ্রে প্রশিক্ষণসহ যাবতীয় আইসিটি উপকরণ (কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, মডেম, ক্যামেরা ইত্যাদি) সরবরাহ করা হয়েছে। কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে কৃষি পরামর্শ গ্রহীতাদের অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এর ফলে প্রান্তিক জনগণের মাঝে তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ বৃদ্ধি হয়েছে। বর্তমানে দেশব্যাপী ৪৯৯টি কেন্দ্র তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রতিটি এআইসিসি থেকে দৈনিক ২২-২৫ জন মানুষ তথ্য সেবা পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন।
১. এআইসিসির তালিকা দেখতে ক্লিক করুন (২৪৫টি এআইসিসি, বিভিন্ন প্রকল্প/কর্মসূচির মাধ্যমে স্থাপিত)।
২. এআইসিসির তালিকা দেখতে ক্লিক করুন (২৫৪টি এআইসিসি-ইনফো-সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে স্থাপিত)।
এস এম হৃদয় রহমান : ৩০ বছর আগেও যে কৃষক স্বপ্নেও ভাবেননি একটি ফোন কলেই পেতে পারেন কৃষি-সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান, বর্তমান সরকারের গত ৫-৭ বছরে প্রযুক্তির উন্নয়নে কৃষি কল সেন্টারে ফোন করে কৃষি জমি থেকেই সেই কৃষক নিমেষেই পাচ্ছেন তাদের কাক্সিক্ষত সমাধান। কৃষি কল সেন্টার ছাড়াও কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্রের (এআইসিসি) আইপিএম এবং আইসিএম ক্লাবের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে সমাধান পাওয়ায় সমৃদ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশের কৃষি। কৃষকের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে সেই কাজগুলো মূলত করে যাচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘কৃষি তথ্য সার্ভিস’।
কৃষি তথ্য সার্ভিস ও প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশন বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রধান কার্যালয়ে কৃষি কল সেন্টারের কার্যক্রম চালাচ্ছে। ২০১২ সালের জুনে এর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হলেও এখন তা পুরোদমেই চলছে। এই কল সেন্টারের নম্বরে (১৬১২৩) যে কোনো মোবাইল থেকে ফোন করে কৃষি ও কৃষি-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাৎক্ষণিকভাবে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সমাধান পাচ্ছেন। কল সেন্টারটিতে ৫ জনের একটি টিম রয়েছে যারা শুক্রবার ব্যতীত সপ্তাহের ৬ দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ সেবা দিচ্ছেন।
কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র (এআইসিসি) গ্রাম পর্যায়ে স্থাপিত কৃষক সংগঠন। আইপিএম-আইসিএম ক্লাবগুলো থেকে বাছাই করে এআইসিসি স্থাপন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মডেম, মাল্টিমিডিয়াসামগ্রী দেয়া হয়েছে এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। গ্রাম পর্যায়ে স্থাপিত এসব এআইসিসির মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে তথ্য সেবা দেয়া হচ্ছে। অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে দেয়া হচ্ছে। এর ফলে প্রান্তিক জনগণের মাঝে তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ বৃদ্ধি হয়েছে।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের এই কার্যক্রমগুলো সম্পর্কে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তিগতভাবে কৃষকের কাছে সুবিধা পৌঁছে দিতে এবং কৃষি-সংশ্লিষ্ট সবার সুবিধার কথা চিন্তা করেই কৃষি তথ্য সার্ভিস এসব সেবা দিয়েছে এবং প্রদান করে যাচ্ছে। কল সেন্টারসহ প্রতিটি কার্যক্রমই কৃষকের সমস্যা সমাধানে যুগান্তকারী। ফসল উৎপাদন থেকে শুরু করে ফসলের রোগ নির্ণয় সব রকম সেবাই পাচ্ছেন কৃষক।
উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালে কৃষি তথ্য সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর ১৯৮০ সালে কৃষি তথ্য সংস্থাকে ‘কৃষি তথ্য সার্ভিস’ নামকরণ করা হয়। কৃষি তথ্য সার্ভিসের কৃষি কল সেন্টার এবং কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র ছাড়াও রয়েছে কৃষিবিষয়ক তথ্য সমৃদ্ধ বাংলা ওয়েবসাইট, কমিউনিটি রুরাল রেডিও, ই-বুক, কৃষি ইনফরমেশন বুথ (কিয়স্ক), আইসিটি ল্যাব, মোবাইল সিনেমা ভ্যানের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি প্রচার, ফিল্ম-ফিলার নির্মাণ, বিটিভিতে প্রচারিত ‘বাংলার কৃষি’ এবং ‘মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠান, ভিডিও ডকুমেন্টারি ও মুদ্রণসামগ্রী।
http://www.dae.gov.bd/site/page/1fc0cf54-f3ca-4042-925e-c778a0741cc6/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস